Chandra Abhiyan : পৃথিবীতে যতদিন মহাকাশ নিয়ে গবেষণার কাজ চলবে। ততদিন পর্যন্ত ভারতের চন্দ্র অভিযানের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে ভারতের চন্দ্র অভিযান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

আজকের প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু
চন্দ্র অভিযানে সাফল্য লাভ করে ভারত বিশ্বের দরবারে এক প্রভাবশালী জায়গায় নিজেকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। কিভাবে ভারত চন্দ্র অভিযানে অনেক সময়, ধৈর্য, ব্যর্থতার পর সফল হয়েছে তার সমস্ত বিস্তারিত তথ্য আমরা এই প্রতিবেদনই আলোচনা করেছি। তাহলে দেরি না করে দেখে নিন প্রতিবেদনটা –
ভারতের চন্দ্র অভিযান :
ভারত এখনো পর্যন্ত 3 বার চন্দ্র অভিযান করেছি। যার মধ্যে তৃতীয়বারে সফল হবে ভারত এটা করতে পেরেছে। সুতরাং ভারতের চন্দ্রযানের ইতিহাসে চন্দ্রযান 1, চন্দ্রযান 2 এবং চন্দ্রযান 3 এর গুরুত্ব অপরিসীম। (Chandra Abhiyan)
ভারতের প্রথম চন্দ্র অভিযান (চন্দ্রযান 1)
চন্দ্রযান 1 হলেও ভারতের প্রথম চাঁদে অভিযান এর কাহিনী। যেটার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO । এটি আরম্ভ হয়েছিল 2008 সালে এবং শেষ হয়েছিল 2009 সালের আগস্ট মাস নাগাদ। পড়ে মহাকাশটি সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভারতের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে PSLV C11 নামক রকেটের মাধ্যমে চন্দ্রযান 1 উৎক্ষেপন করা হয়েছিল।
আরও দেখুন :- কলকাতার ট্রামের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস 150 বছরের
যার মূল লক্ষ্য ছিল – চাঁদের রাসায়নিক এবং খনিজ উপাদান সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে সেটা পৃথিবীতে প্রেরণ করা। চন্দ্রযান 1 এর মাধ্যমে MIP নামের একটি প্রযুক্তি কে চাঁদের মাটিতে পৌঁছানো হয় তখন। (Chandra Abhiyan)
যার ওজন ছিল 34 কিলোগ্রাম। ওই প্রযুক্তির উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের যাবতীয় তথ্য ISRO এর মাধ্যমে দেশে পাঠানো। চন্দ্রযান 1 MIP সহ আরো 11টি আধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়েছিল। যেটা অনেকটাই সাফল্য লাভ করেছিল। ওই অভিযানে প্রথম চাঁদে জলের অস্তিত্ব প্রমাণ করা হয়।

ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অভিযান (চন্দ্রযান 2) :
এরপরে দীর্ঘ 11 বছর পর 2019 সালে চন্দ্রযান 2 অভিযানটি ছিল অত্যন্ত জটিলতাপূর্ণ। কারণ তখন চন্দ্রযান 2 চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে, যেটা আমাদের দৃষ্টির বাইরে থেকে যাবে। প্রায় 1000 কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা চন্দ্রযান 2 এর তিনটি অংশ ছিল।
প্রথমটি হল অর্বিটার, দ্বিতীয়টি হলো ল্যান্ডার ও তৃতীয়টি হলো রোভার। ল্যান্ডার এর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বিক্রম’ এবং রোভার এর নাম দেওয়া হয়েছিল প্রজ্ঞান। ওই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের মানচিত্র তৈরি করা। এছাড়াও ওখানকার ধুলো, বাষ্প এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করে ISRO এর মাধ্যমে দেশে পাঠানো। (Chandra Abhiyan)
আরও দেখুন :- কিভাবে “আমার সোনার বাংলা” বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো?
ভারতের তৃতীয় চন্দ্র অভিযান (চন্দ্রযান 3) :
ভারতের চন্দ্র অভিযানের ইতিহাসে চন্দ্রয 3 হলো একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। 2023 সালে 14 জুলাই শুক্রবার সতীনতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে লঞ্চ ভেইকেল মার্ক 3 (LVM 3) রকেট এর মাধ্যমে উৎক্ষেপণ কার্যকরী করা হয়েছিল।
চাঁদে নতুন রোভার পাঠানোর উদ্দেশ্যে এই শুরু হয় চন্দ্রযান 3 এর কাজ। রোভারের কাজ হল চাঁদের ওপর ভ্রমণ করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা এবং সেই তথ্যগুলিকে ISRO এর মাধ্যমে দেশে পাঠানো।

আরও দেখুন :- ভারতের বিখ্যাত মন্দির ও তাদের অবস্থান
এরকমই আরো শিক্ষামূলক নিত্য নতুন আপডেট, জেনারেল নলেজ, মক টেস্ট, জীবনী, ইবুক ইত্যাদি প্রতিদিন পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ও আমাদের সঙ্গে যুক্ত থেকে আমাদের কাজ করার আগ্রহকে আরো বাড়িয়ে তুলুন।
এছাড়াও আমাদের Whatsapp, Facebook, Telegram গ্রুপও যুক্ত থাকতে পারেন, সেখানেও আমরা এগুলি শেয়ার করে থাকি।